25.9.19

কি হয় স্টুডেন্ট টু স্টার্টাপে?

ব্যবসায় পরিকল্পনা শুরু করবেন যেভাবে
এক ঘণ্টার মত সময় নিয়ে বসুন। কাগজ কলম অবশ্যই থাকতে হবে। চিন্তা করুন। এই সময়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখুন।  অন্তত দুইটা বিজনেস আইডিয়া লিখুন। চেষ্টা করবেন স্মার্ট দুইটা আইডিয়া দিতে। বিজনের প্লানের মাধ্যমে কোন একটা সমস্যার সমাধান দিতে পারলে ভালো হয়। 
যেমন ধরুন ভিমের কথা। কেন দরকার ছিলো ভিম? ডিটার্জেন্ট দিয়েই তো হচ্ছিলো? একটা সমস্যা ছিলো। ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করলে পাত্রের  গায়ে ডিটার্জেন্টের  গন্ধ লেগে থাকে। অথবা মিনি প্যাক শ্যাম্পু কেন? কারন বড় প্যাকেট শ্যম্পুর খরচ বহন করা কম আয়ের মানুষের জন্য কষ্টকর। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই মিনিপ্যাক শ্যাম্পু। 

আইডিয়া জেনারেটের সময় নিচের প্রশ্নের দিকে খেয়াল রাখুন

  1. আপনার বিজনেস আইডিয়া কোন সমস্যার সমাধান করবে?
  2. সমস্যাটার সল্যুশন কেন গুরুত্বপুর্ন?
  3. সমস্যার ব্যপ্তি কতটুকু?
  4. সমস্যার মুল কারনগুলো কি?
  5. সমস্যাটা কি সমাধানযোগ্য? 
  6. সমস্যা সমাধানের জন্য পুর্বে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছিলো।
  7. সমস্যার সমাধান হলে কি ধরনের পরিবর্তন আসবে? 
  8. কতজন মানুষের সমস্যা সমাধান হবে?
  9. আপনার টার্গেট কাস্টমার কে বা কারা? 
  10. আপনার সমাধান কি ইউনিক?
  11. বিজনের শুরু করতে আপনার স্টার্টাপ খরচ কত?
  12. আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সমস্যা কি কি?
  13. বিজনের থেকে রেভিনিউ আসতে কত সময় লাগতে পারে। 


কি হয় স্টুডেন্ট টু স্টার্টাপ এ?
কিচ্ছু হয় না। প্রথমদিন যাবেন, তারা বিসজনেস প্লানের উপর লেকচার দিবে, আর আপনারা শুনবেন। স্নাক্স এর ব্যবস্থা থাকবে। 

তারপর?
তারপর বাসায় আসবেন। আপনার আইডিয়া নিয়ে বসবেন। দুই মিনিটের একটা পিচ রেডি করবেন। প্রাকটিস করবেন ৩০ বার। 

এর পর কি?
পরের দিন আবার যাবেন, দেখবেন অনেক মানুষ আইডিয়া নিয়ে আসছে। কয়েকজন দেখবেন S2S টি শার্ট গায়ে দাঁড়ায় আছে। আপনারও ইচ্ছে হবে যে, ইসস আমি যদি একটা পেতাম। কিন্তু পাবেন বলে মনে হয় না। তবে একটা ভালো কলম ও লেখার প্যাড পাবেন মেবি। 
তারপর আপনার নাম লেখাবেন লিস্টে। হুট করে দেখবেন আপনাকে ডাকছে। আপনারা তিনজন গিয়ে আপনাদের আইডিয়া দুই মিনিটে শেয়ার করবেন। দেন আপনাকে একটা খাবারে প্যাকেট ধরায় দিবে। আপনি চিল করতে করতে চলে আসবে।




পিচে কি কি হয়?
তেমন কিছুনা। কারন আপনি র‍্যাগ খেয়ে অভ্যস্ত। আপনাকে মোটামুটি তারা এমন ভাবে সাইজ করবে যাতে কিছু সময় পর আপনার মনে হবে যে কি একটা আইডিয়া নিয়ে আসছি। আর হ্যাঁ, এইটা ওদের স্ট্রাটেজি। মন খারাপের কিচ্ছু নাই। 


আইডিয়া কেমন হওয়া চায়?
আপনার আইডিয়া একটু ইউনিক হতে হবে। মানে সিকৃবিতে আমের ব্যবসা বা কসমেটিক্স এর ব্যবসা টাইপ আইডিয়া না দিলে ভালো হয়। তবে এমন আইডিয়াও আবার দিয়েন না যাতে করে আপনার ফান্ড লাগবে ২০০০০০০০০০০০০০০০০০০ ডলার। একজন এরকম আইডিয়া দিছিলো। তারে বলছে নিজে ইনকাম করে ব্যবসা করো। মোটামুটি সিম্পলি স্মার্ট একটা আইডিয়া হলেই ভালো। 


আইডিয়া কই পাবেন?
রাস্তায় পাবেন, ক্লাস রুমে, জালাল ভাইয়ের টঙ্গে, টয়লেটে বা শহীদমিনারেও পাবেন। তবে ঐখানে যাবার আগে গুগল সার্চ করে নিতে পারেন। হুবহু আইডিয়া না দিয়ে নিজের দেশের হিসাবে একটু মোডিফাই করে নিবেন। হাটতে চলতে প্রচুর আইডিয়া পেতে পারেন। 


যেটা করতে ভুলবেন না!!
আপনি গিয়েই আগেভাবে বন্ধু বা টিমমেটদের সাথে সেলফি তুলে রাখবেন। কারন সন্ধ্যায় সেলফি তুললে কম আলোর জন্য ছবি ভালো নাও আসতে পারে। 


আর হ্যাঁ!!
এই ছোট্ট কাজগুলোর মধ্যে দিয়েই আপনি নেক্সট রাউন্ডের জন্য সিলেকটেড হতে পারেন। আপনাদের নিয়েই ঢাকায় চলবে ইনিটেনসিভ গ্রুমিং সেশন। আর বুঝতেই পারছেন যে সেই সেশন গুলো কিরকম হবে। বেস্ট আইডিয়া গুলো প্লাস বেস্ট মেন্টরস। পুরো বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাবে বেস্ট আইডিয়াগুলো। সেখানে কি হতে পারে সেটা হয়ত আমি আপনি ধারনাও করতে পারবো না। 

x

21.9.19

আপনি কি আসলেই চান?

পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই ডিপ্রেশন নামক জিনিসটার সাথে পরিচিত। কেউ ইচ্ছে করে কিংবা কেউ চাপে পড়ে এতে ভুগতে থাকে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ সাইক্রিয়াটিকের সরনাপন্ন হয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দক্ষ সাইক্রিয়াটিক এর যেমন অভাব তেমনি সমাজের কিছু হেয় প্রতিপন্নতা, সবমিলিয়ে এই ডিপ্রেশনের মতো জায়গাগুলোর রেশানলে পড়েই মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমরা সবার সামনে সবসময় সমস্যাগুলো তুলে ধরি কিন্তু সমাধান নিয়ে কেউ চিন্তা করিনা। আমরা অভিযোগ করতে জানি, কিন্তু তার প্রতিকার করতে জানিনা। আমরা অন্যের সমালোচনা করতে জানি, কিন্তু নিজের অসংগতির কথাগুলো ভাবিনা।
খুব ধনী থেকে খুব গরীব সবাই ই কোনোনা কোনো ভাবে ডিপ্রেশন কথাটির সাথে পরিচিত। হাজারো বিত্ত বৈভবের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ নিজেকে ভালো রাখতে পারেনা আবার কিছুই যার নেই সে দুবেলা-দুমুঠো খেয়েই নিজেকে নিয়ে সুখী। ডিপ্রেশন এমন একটা সমস্যা যা নিজে নিজেই নিজের মাধ্যমেই নিজের অন্তরে তৈরি হয়। সহজ কথায় সেধে সেধে নিজের ভিতর রোগ জমানোর নামই ডিপ্রেশন। আমরা সবসময় বলি "আমি ভালো নেই" কিন্তু কেনো ভালো নেই সেটা ভাবিনা। কিংবা কিভাবে ভালো থাকবো সেটাও ভাবিনা। শুধু একটাই কথা "ভালো নেই"। আসলে আমি কি চাই ভালো থাকতে?
Photo credit: Noelmcdermott

ডিপ্রেশন থেকে কাটিয়ে উঠার ছোট্ট কিছু টিপস্ এমন হত পারেঃ
আপনার খুব কাছের কোন বন্ধুর কাছে আপনি আপনার উদিত সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারেন। এতে করে নিজেকে অনেক হালকা মনে হতে পারে। এখানে খেয়াল রাখবেন বন্ধুটি অবশ্যই আপনার খুব কাছের একজন হতে হবে যে কি না পরবর্তীতে এটা নিয়ে কোনো কথা তুলবে না।
দ্বিতীয়ত আপনি নিজেকে নিয়ে এটা ভাবুন "আমি ভালো আছি।" পৃথিবীর যত কষ্টেই থাকুন নিজের মাঝে যদি এটা রাখতে পারেন যে হ্যাঁ আমি ভাল আছি, তাহলে অবশ্যই আপনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবেন।
তৃতীয়ত সবার প্রতি এক্সপেকটেশনটা কমিয়ে দিন। সবাই আপনার কাছের হবেনা। ঠিক তেমনি সবাই আপনার ইচ্ছানুযায়ীও চলবেনা। সবাইকে খুশী রাখা আপনার পক্ষে সম্ভবনা। বরং নিজের প্রতি সেটা বাড়ান, কাজে দিবে।
চতুর্থত নিজের মাঝে "I don't Care" ভাবটা আনুন। পৃথিবীতে আপনি সুখে আছেন মানে সেইটাই ভালো, কার কি হলো, কেনো করলো, এরকম কেন করেনা আমার সাথে এসব ভাবা বন্ধ করুন। নিজের উন্নতির দিকে চোখ দিন। অন্যরা ভালো করবে এটাই স্বাভাবিক। নিজে কতটা ভালো করছেন সেটাই দেখার বিষয়।
পঞ্চমতো আল্লাহ্ তা'আলা এবং নিজের উপর মন থেকে ভরসা রাখুন। যাই হোক না কেনো ভালোর জন্যেই হবে। যে থাকার সে এমনিতেই আপনার সাথে থাকবে আর যে চলে যাবার সে আপনার থেকে চলেই যাবে। বাঁধতে পারবেননা কোনোভাবে।

সাধারনত ডিপ্রেশনে পড়লে আমরা যে ভুলগুলো করি তার মধ্যে অন্যতম নিজের ক্ষতি করা। আপনি সহজেই নিজেকে বুঝান যা হবার হয়ে গেছে। এর থেকেও বাজে কিছু তো হতে পারতো জীবনে। নিজের মাঝে নেগেটিভিটি সৃষ্টি না করে পজিটিভিটি আনুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রিলেশন ঠিকমতো চলছেনা বা ব্রেকআপ কিংবা জড়াতে চাই নিয়ে ডিপ্রেশন। আর এরজন্যে তারা আল্লাহ্ র কাছে দোষারোপ করে, বা দোয়াও করে। এটা ভুলে যায় বিয়ে-পূর্ব প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ের এসব সম্পর্ক নিষিদ্ধ। যদি খুব দরকার হয়, বিয়ের প্রস্তাব দিন, বিয়ে করুন, তারপর দোয়া করুন, সৃষ্টিকর্তা আপনার সাথেই থাকবেন। ব্রেকআপ হলে না কি ভোলা যায়না-কত কিছু -কেদেঁ বুক ভাসায়, নাকের জল চখের জল এক করে। কিন্তু এটা বুঝেনা, প্রেম করে সে নিজে, ভালওবাসে নিজে, মানায় নেয়ও নিজে, আর যখন চলে যায় তখন কেনো সেই কাজগুলো নতুন কারো সাথে করতে পারেনা। সব তো নিজেরই করা তো নতুন কেনো নয়? নিশ্চয়ই কেউ কেউ বলবেন সবসময় সব সম্ভব হয়না। অন্তত এসব ক্ষেত্রে সবই সম্ভব। আর আপনার ইচ্ছে করলে বসে থাকতে পারেন। সেই ঐ টাইমে মোজ মাস্তি করে আপনার কাছে ফিরেও আসতে পারে।

মন খুলে ভালোবাসুন, কিন্তু এতটাও নির্ভর করবেননা যেখানে আপনার আত্মসম্মান বিকিয়ে দিতে হয়। নিজেকে ভালো রাখুন। নিজেই নিজের প্রতি ভালো হয়ে উঠুন। নিজেকে ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন। আপনার দুনিয়া এবং আপনি ভালো থাকতে বাধ্য -হ্যাঁ তবে অবশ্যই আপনার নিজেকে সেটা মন থেকে সৎভাবে চাইতে হবে।

অবশ্যই নিজেকে প্রশ্ন করবেন " আমি কি সত্যিই ভাল থাকে চাই?"

ভালো থাকুন, ভালো রাখুন, সমাজের উপকার হবে, দেশের উন্নতি হবে।

লেখকঃ মোঃ লুৎফর রহমান সীমান্ত
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। 

4.9.19

How to give a presentation

Image result for how give a presentation
Source: Magneticspeaking

এক্সিকিউটিভ মেম্বারদের জন্য "How to give a presentation" শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।
উক্ত সেমিনারে অবশ্যই সকল এক্সিকিউটিভদের উপস্থিত থাকতে হবে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সকল এক্সিকিউটিভকে নিজস্ব খাতা ও কলম ব্যবহার করতে হবে।

তারিখঃ ০৬/০৯/২০১৯
আয়োজক : Division of Language and Communication, The Agricultural Economics Club
রিপোর্টিং টাইমঃ বিকাল ৩ঃ১৫ থেকে ৩ঃ৩০
রিপোর্টিং ক্লোজ এবং সেমিনার শুরু ৩ঃ৩০ মিনিট।
স্থানঃ কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (নতুন ভবন), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
ড্রেস কোড : ফর্মাল/সেমিফর্মাল

বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ
মাহবুব এলাহি
জেনারেল সেক্রেটারি
দি এগ্রিকালচারাল ইকনোমিক্স ক্লাব, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
মোবাইল নংঃ 01684503240